দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় তিন দিনের বৃষ্টিতে কয়েক কোটির টাকার সয়াবিন নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সয়াবিন চাষের সঙ্গে যুক্ত সাড়ে ৭ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হন। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
তবে কৃষকেরা বলছেন, কৃষি কার্যালয়ের দেয়া এ তথ্য সঠিক নয়। কারণ অতিবৃষ্টিতে পাঁচটি চরের আধাপাকা ৮০ ভাগ সয়াবিনই তলিয়ে গেছে। এতে পচে নষ্ট হয়ে গেছে ৩০ কোটি টাকার সয়াবিন।
চরআবাবিল গ্রামের কৃষক খলিল মিয়া ও স্বপন মাল জানান, এ বছর সয়াবিনের বাম্পার ফলন হয়েছিল। কিন্তু ফসল ঘরে তোলার কয়েক দিন আগে হঠাৎ ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এতে চোখের সামনেই ডুবে যায় পাকা সয়াবিন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৭ হাজার একর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ একর জমির সয়াবিন ডুবে যায়। এতে ৬০০ মেট্রিক টন সয়াবিন নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে কৃষকের দেড় কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
হায়দরগঞ্জের সিরাজ সরকার ও হাবিবুর রহমান মিন্টু নামে সয়াবিন ব্যবসায়ী বলেন, কয়েক বছর ধরে শুধু উপজেলার পশ্চিমা লের চারটি ইউনিয়নে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সয়াবিন লেনদেন হচ্ছে। তিনিসহ ১৫-২০ জন ব্যবসায়ীর সয়াবিনে বিনিয়োগ রয়েছে দুই শতাধিক কোটি টাকা। পাকা ও আধাপাকা সয়াবিন নষ্ট হওয়ায় কৃষকের মতো তারাও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এবার সয়াবিনের ভালো ফলন হয়েছিল। সয়াবিন ঘরে তোলার সময়ে বৃষ্টি দেখা দেয়ায় কৃষকের কিছুটা সর্বনাশ হয়েছে। সামনে বৃষ্টি কম হলে আমাদের লক্ষমাত্রা অর্জন হবে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন